কলকাতা 

Women PS: মহিলাদের উপর সংগঠিত অপরাধ ঠেকাতে প্রতিটি মহকুমায় মহিলা থানা করার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, খুব শীঘ্রই আরো কুড়িটি থানা চালু হবে

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মহিলা নির্যাতন ঠেকাতে রাজ্য সরকার আরো ২০টি মহিলা থানা গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানা গেছে।রাজ্যে এখন মহিলা থানা আছে ৪০টি। কিন্তু অপরাধ, বিশেষত মহিলাঘটিত দুষ্কর্ম বন্ধ হচ্ছে না।তাই প্রতিটি মহকুমায় একটি করে মহিলা থানা বানাতে চাইছে নবান্ন।

পুলিশি সূত্রের খবর, বাড়তি মহিলা থানা দু’দফায় গড়ার করার কথা ভাবা হয়েছে। যে-সব নতুন পুলিশ-জেলার অধীনে এখন মহিলা থানা নেই, এ ক্ষেত্রে সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, যে-সব মহকুমায় মহিলা থানা নেই, জেলা পুলিশের কাছ থেকে সেগুলির তালিকা চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের ঘটনার তদন্ত করে মহিলা থানাগুলিই। রাজ্যে প্রথম মহিলা থানা তৈরি হয় ২০১২ সালে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে। নতুন করে দু’দফায় আরও মহিলা থানা গড়া হলেও বাহিনীতে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা সে-ভাবে বাড়েনি। বর্তমানে রাজ্য পুলিশে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ন’হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের মধ্যে মহিলা ইনস্পেক্টর রয়েছেন মাত্র ২৩ জন। সাব-ইনস্পেক্টরের সংখ্যা ৩৭০। মহিলা কনস্টেবল আছেন সাড়ে আট হাজারের মতো। এ ছাড়া রাজ্যের হাতে রয়েছে দু’হাজারের বেশি মহিলা হোমগার্ড এবং এনভিএফ কর্মী।

রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী প্রতিটি মহিলা থানায় এক জন ইনস্পেক্টর, আট জন সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই), আট জন এএসআই এবং ৩০ জন কনস্টেবল থাকার কথা। এমনিতে প্রতিটি থানায় মহিলা এসআই ও এএসআই দেওয়ার কথা বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি মহিলা থানায় হাতে গোনা অফিসার এবং কর্মী আছেন। তাই নতুন থানা তৈরি করলে দরকার আরও মহিলা পুলিশকর্মীর।

নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের সব থানাতেই এখন পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। মহিলা থানাও তার বাইরে নয়। নতুন করে সব বিভাগে পুলিশকর্মী নিয়োগের কাজ চলছে। সেই কাজ দ্রুত শেষ হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে ব্যাটেলিয়ন থেকে মহিলা পুলিশকর্মী নিয়ে থানাগুলিতে দেওয়া হবে।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ